ব্রেকিং নিউজ
গণমাধ্যমকর্মী আইনে সাংবাদিকদের প্রাপ্য সব ধরনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী খুলনার দাকোপের কালাবগী এলাকায় ভয়াবহ নদী ভাঙন সিরাজগঞ্জে নিখোঁজের একদিন পর গর্ত থেকে ২ ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যান ফ্রন্ট, খুলনা জেলার প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত সাঁথিয়ায় সাঁতার প্রশিক্ষণ সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্টিত কোনো শিক্ষার্থীই পাস করেনি ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
×

মুশফিকুর রহমান - ঈশ্বরদী ,পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫/১১/২০২৩, ১০:১০:০২ PM

নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন

দলীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তারা সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এই দাবিতে একই সঙ্গে না হলেও পৃথক পৃথকভাবে রাজপথে আন্দোলনও করছে তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন।

দলীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তারা সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এই দাবিতে একই সঙ্গে না হলেও পৃথক পৃথকভাবে রাজপথে আন্দোলনও করছে তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন।

নির্বাচনের প্রসঙ্গে জামায়াত বলছে, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির লক্ষ্যে জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমানসহ বিরোধী দলের সকল শীর্ষ নেতা এবং গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। মিথ্যা ও সাজানো মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সভা-সমাবেশ ও মিটিং করার সুযোগ দিতে হবে। জামায়াতের কেন্দ্রীয় অফিসসহ বন্ধ সকল শাখা অফিস খুলে দিতে হবে।

গত ২৮শে অক্টোবর রাজধানীর আরামবাগে মহাসমাবেশ করে জামায়াত এবং নয়াপল্টনে করে বিএনপি। ওইদিন নয়াপল্টনের আশপাশের এলাকায় বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।

এই সংঘর্ষে বিএনপি’র মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এরপর থেকে বিএনপি সরকার পতনের একদফা দাবিতে হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে। জামায়াত বিএনপি’র সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে না থাকলেও তাদের সঙ্গে মিল রেখে তারাও হরতাল এবং অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।

https://news10tv.com/

এদিকে ৩রা নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ থেকে সরকারকে ১০ই নভেম্বরের মধ্যে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে আল্টিমেটাম দেয় ইসলামী আন্দোলন। পাশাপাশি তারা সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সকল শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রতি সমর্থনও ঘোষণা করে। এরপরে গত ১২ই নভেম্বর একতরফা তফসিল ঘোষণা করা হলে ওইদিনই নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল কর্মসূচি দিয়েছিল তারা।

জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সাজানো প্রহসনের নির্বাচন করে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা অতীতের মতো আবারো একতরফা ভোটারবিহীন পাতানো নির্বাচনের ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই বিরোধী দলের মতামতকে অগ্রাহ্য করে তাদের অনুগত নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে ফরমায়েসি তফসিল ঘোষণা করিয়েছে। এই অবস্থায় দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে উদ্ধারের জন্য আমরা রাজপথে কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলন করছি। 


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচনে যাবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আমরা দেখেছি, দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি। এই নির্বাচনও দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু হবে না। তাই আমাদের দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন না।